টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ইতিমধ্যে ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে অনেক মানুষ এরই মাঝে নাগরপুরে ঢুকে পড়েছে। এজন্য প্রতিনিয়ত প্রশাসনকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন নতুন বাড়িকে লকডাউন করতে হচ্ছে। লকডাউনকৃত বাড়ির লোকজন যেন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে প্রশাসনকে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের কারণে যেসকল বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে তাদের খাদ্য সহায়তা তাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের লকডাউনকৃত ২৫টি পরিবারের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় শুরু থেকেই সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদ ত্রাণ বিতরন করে আসছে।
গত ১৭ এপ্রিল সহবতপুরের নন্দপাড়ায় একজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ৩০ বাড়ি লকডাউন করা হয়। আজ করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন করা ২৫টি পরিবারের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, আলু দিচ্ছে। এর সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে লবন এবং মিষ্টি কুমড়া বিতরণ করেছি। যে পর্যন্ত তাদের লকডাউন অবস্থার পরিবর্তন না হবে, সে পর্যন্ত তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।