ঝগড়ার মিমাংসার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়, পরে লাশ উদ্ধার

লাশ উদ্ধার

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মো. হাসমত আলী (৫০) নামের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পারবাইজোড়া গ্রামের ইয়ারচান মিয়ার পরিত্যাক্ত ক্ষেত থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সে ওই গ্রামের মৃত হায়েদ আলীর ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

দূবৃত্তর্রা গলায় রশি পেছিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায় বলে ধারনা করছে পুলিশ।

আরো পড়ুন – হাজতখানায় রশি এলো কোথা থেকে?

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে তফিজ ব্যবসার কথা বলে হাসমত আলীর কাছ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা ধার নেন।

হাসমত টাকা চাইতে গেলে তফিজ উদ্দিন নানা তালবাহানা করে আসছিল। সোমবার বিকালে হাসমত আলী ফের তফিজের কাছে টাকা চাইতে যায়।

এ নিয়ে হাসমত আলীর সাথে তফিজের পারবাইজোড়া পাকা রাস্তার মোড়ে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে তফিজ ও রহিম বাদশা মিলে হাসমত ও তার মেয়েকে মারপিট করে।

পেইজটিতে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন – https://web.facebook.com/JournalistAlokKumar/

বুধবার বাজারে রহিম বাদশা আবারও হাসমত আলীর সাথে কথা কাটাকাটি করে।

বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে রাত ৮টার দিকে কামাল হাসমতকে তার বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর রাতে বাড়ী ফিরে আসে নাই।

নিহতের স্ত্রী সোনা ভানু বলেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে কামাল বাড়ী এসে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়; সে আর রাতে বাড়ী ফিরে আসে নাই।

বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় আসু মিয়ার স্ত্রী নবীয়া বেগম বাড়ীতে খবর দেয় হাসমত আলীর লাশ ইয়ার চান মিয়ার জমিতে পড়ে আছে।

পূর্ব শক্রতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবী করেন।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রæত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইল জাতির জনকের বিকৃত ভাস্কর্যটি অপসারণ; প্রতিস্থাপিত হয়নি নয় মাসেও

প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার