সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি বা শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করলে সাধারণত কম ঘুম, মানসিক চাপ বা ব্যায়ামের অভাবকে দায়ী করা হয়। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, এই সূক্ষ্ম লক্ষণগুলো ফুসফুসের স্বাস্থ্য সমস্যা বা প্রারম্ভিক ফুসফুস ক্যান্সারের সংকেতও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধূমপায়ী বা অধূমপায়ী উভয়ের মধ্যেই ফুসফুস ক্যান্সারের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ প্রভাবিত হচ্ছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বুকে অস্বস্তি বা হালকা, টানা কাশি সহজেই হালকা সমস্যা মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো মূল্যায়নের প্রয়োজন।
ডা. বিশ্বনাথ জানান, প্রাথমিক ধাপে সচেতনতা ও স্ক্রিনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী এবং কমপক্ষে ২০ বছরের ধূমপানের ইতিহাস থাকা ব্যক্তিদের জন্য কম মাত্রার CT স্ক্যান পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য।
চিকিৎসকেরা আরও বলেন, ফুসফুস রক্ষায় ধূমপান ও দূষণ এড়ানো, ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলা, হলুদ ও শাক-সবজি খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। প্রাথমিক সতর্কতার লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিন, সময়মতো পরামর্শ ও স্ক্রিনিং সফল পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা বাড়ায়।











