জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তারা এককভাবে ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্বার্থ ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে জাতীয় সরকার গঠন করবে। সোমবার গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা, নির্বাচনী ইশতেহার এবং নির্বাচন-পরবর্তী ১০০ দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। তিনি জানান, ক্ষমতায় গেলে জামায়াত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে কাজ করবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে বাদ না দিয়ে আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সরকার পরিচালনা করা জরুরি। এতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন ভোটারদের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে; তাই দুটি নির্বাচন আলাদা করার পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই এবং নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হওয়া উচিত। পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক ভোটব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রতি দলের অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন। ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ধর্ম তাদের চিন্তা ও চেতনার অংশ, কিন্তু ভোটের সময়ে তা ব্যবহার করার প্রবণতা তাদের নয়।
ইইউ প্রতিনিধি দলে রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টারা। এর আগে সকালে বসুন্ধরায় ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনারের সঙ্গেও জামায়াত আমির সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।











