৫ নভেম্বর ছোট গল্পের জাদুকর রাশেদ রহমানের জন্মদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটক দিয়ে শুরু। কবিতাও লেখেন। হাইস্কুলে লেখাপড়ার সময়ই রাশেদ রহমানের লেখালেখির হাতেখড়ি।

তবে তাঁর সাহিত্যচর্চার মূলক্ষেত্র কথাসাহিত্য। বিশেষ করে ছোটগল্প।

কোনো কোনো সমালোচক ভালোবেসে তাকে বাংলা ছোটগল্পের ‘জাদুকর’ হিসেবেও অভিহিত করেন।

এই “ছোট গল্পের জাদুকর” টাঙ্গাইলের সন্তান “রাশেদ রহমান”।

১৯৬৭ সালের ৫ নভেম্বর তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

রাশেদ রহমান ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি তার ‘বিষলক্ষার ছুরি’ গল্পগ্রন্থের জন্য শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার পান।

২০২০ সালের একুশে বইমেলায় নাগরী কর্তৃক প্রকাশিত তার ‘পতিতামঙ্গল’ উপন্যাসটি পাঠক ও সমালোচকদের ভূয়শী প্রশংসা লাভ করে।

রাশেদ রহমান সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘উতঙ্ক’ সম্পাদনা করেন।

রাশেদ রহমান এপর্যন্ত ২০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার মধ্যে ছোট গল্প ১৪টি, কাব্য ৩টি ও উপন্যাস ৩টি।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে, ছোট গল্প : আগুনঘেরা নদী (১৯৯৭, শিল্পতরু), সুন্দর পাপ ও বিলাসভূমি (২০০০, দিব্যপ্রকাশ), একদিন শুকনো নদীতে (২০০৩, পলল প্রকাশনী), অন্ধকারে বৃষ্টির গান (২০০৫, পলল প্রকাশনী), ঈশ্বরের চোখে জল (২০০৭, পলল প্রকাশনী), জাদুর আয়না (২০০৯, গতিধারা), দেশে আর্মি নামলে যে গল্পের জন্ম হয় (২০১১, গতিধারা), তৌরাতের সাপ (২০১২, গতিধারা), শত্রু কিংবা শত্রু সম্পত্তি (২০১৪, শুদ্ধস্বর), গণিকা প্রণাম (২০১৫, শুদ্ধস্বর), আধেক মানুষ (২০১৮, কথাপ্রকাশ), বিষলক্ষার ছুরি (২০১৮, বেহুলা বাংলা), ছিনতাইকারীর চোখ (২০১৯, বেহুলা বাংলা), কুঞ্জ ও কালনাগ (২০২০, বেহুলা বাংলা)।

কাব্য : কুমারী নদীর কবিতা (২০০৮, পলল প্রকাশনী), দ্রৌপদীর শাড়ির আগুন (২০১০, গতিধারা), ঈশ্বরের খাদ্য ও জননীর কবিতা (২০১৩, গতিধারা)।

উপন্যাস : স্বপ্ন কিংবা স্বপ্নের ছায়া (২০০৬, পলল প্রকাশনী), শহীদ সতীশ চন্দ্র দাস সড়ক (২০১৭, বেহুলা বাংলা), পতিতামঙ্গল (২০২০, নাগরী)।