টাঙ্গাইলে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যূত; চালকের দাবী ব্রেক ফেল

টাঙ্গাইলে তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে রংপুরগামী তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যূত হয়ে উল্টে পরার পর সেটি উদ্ধার কার্যক্রমে ধীরগতি হচ্ছে।

ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধার কার্যক্রমে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ট্রেন লাইনচ্যূত হওয়ার ঘটনায় ডিভিশনাল পর্যায়ে রেলওয়ের ডিজিওকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এরআগে সোমবার (২০ জুন) বিকেলে পেট্রোল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে রংপুর যাচ্ছিল ট্রেনটি।

এসময় ট্রেনটি মির্জাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনের বগিসহ তেলবাহী আরেকটি বগি লাইনচ্যূত হয়ে রেললাইনের পাশে উল্টে যায়।

উল্টে যাওয়া বগিতে ৩০ হাজার লিটার পেট্রোল ছিল বলে জানা গেছে। তবে দূর্ঘটনায় কবলিত হয়ে বগিতে থাকা অধিকাংশ পেট্রোল পড়ে গেছে।

এদিকে ট্রেন দূর্ঘটনায় ট্রেনের লোকো মাষ্টার ফিরোজ শাহ সুলতান (চালক) ও সহকারী চালক জিয়াউর রহমান আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, মির্জাপুরে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যূত হওয়ার ঘটনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল প্রায় ১ ঘন্টা; পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি।

পরে সোমবার রাত ১টার দিকে উদ্ধারকারী রিলিভ ট্রেন আসার পর লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধার কার্যক্রমে ধীরগতি হয়।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধার কার্যক্রমে ধীরগতি রয়েছে।

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধারে মঙ্গলবার সারাদিন লাগতে পারে। এছাড়া ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ট্রেন চালকের অসাবধানতার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চালক দাবী করেছে, ট্রেনের ব্রেক ফেল করায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ট্রেনে থাকা ‘লগ’ এ রেকর্ড রয়েছে। লগেই বিস্তারিত পাওয়া যাবে আসলে কি কারণে ট্রেন লাইনচ্যূত হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার