মালদ্বীপে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশি প্রবাসীদের নিয়মিতকরণের জন্য মালদ্বীপ সরকারকে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে দেশটিকে বাংলাদেশ থেকে আরো কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টা এই অনুরোধ জানান। মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ বলেন, বর্তমানে মালদ্বীপের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষায় অধ্যয়ন করছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে, বিশেষ করে ওষুধ শিল্প খাতে। এছাড়া মালদ্বীপের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করবে। তিনি আরো জানান, কয়েকটি বাংলাদেশি কোম্পানি ইতোমধ্যে মালদ্বীপে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছে।
এছাড়া, গত বছরে মালদ্বীপে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, আপনার জলবায়ু কর্মপরিকল্পনার প্রতি আমাদের গভীর আগ্রহ রয়েছে। মালদ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে যেতে চায়।
বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা হাইকমিশনার শিউনীন রশীদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশ মালদ্বীপের আরো শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি প্রবাসীরা মূলত মালদ্বীপের পর্যটন ও মৎস্য খাতে কাজ করছেন। এছাড়াও, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি চিকিৎসকও মালদ্বীপে কর্মরত রয়েছেন।