বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর পরও মানুষ সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। কারণ বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে এবং নিজস্ব স্বার্থে জনগণকে বঞ্চিত করেছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইসলামি ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। এই সমাবেশ থেকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দফা দাবির পক্ষে জনসমর্থন জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের রাজনীতিতে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়নি। একদলের অপকর্মের জায়গায় অন্য দল একই আচরণ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও মানুষের অধিকার হরণের কারণে জনগণ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতে যারা নির্বাচন নিয়ে সরব ছিলেন, এখন তারা বিভিন্ন অজুহাত তুলছেন। এটি ভালো লক্ষণ নয়। জনগণ তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এবং আগামী নির্বাচনে জবাব দিতে প্রস্তুত। তিনি সতর্ক করে বলেন, কেউ নির্বাচন ভণ্ডুল বা প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচন শুধু প্রতীকের নির্বাচন নয়, এটি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটেরও নির্বাচন। তাই ‘হ্যাঁ’ ব্যালটে ভোট নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে বিচারহীনতা ও সম্পদ পাচারের বিচার না হওয়ায় জনগণের আস্থা কমেছে। রাষ্ট্রীয় সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন করতে চাওয়া একটি পক্ষ আজ বাধা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।











