প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “ভালো বিতর্কই একটি সুস্থ গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অন্যকে হেয় করে ভাষা ব্যবহার কেবল অসহিষ্ণুতার প্রকাশ।” রবিবার তিনি ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, “ফুলবাড়ীর হত্যাকাণ্ডের খবর প্রথম বিদেশি সংবাদদাতা হিসেবে সম্ভবত আমি প্রকাশ করেছি। নিহত আন্দোলনকারীদের তথ্য পুলিশের কাছে স্বীকার করাতে অনেক চাপ সামলাতে হয়েছিল। তখন আমি ঢাকায় এএফপির সংবাদদাতা ছিলাম। ওই প্রতিবেদনের আলোচনার প্রভাব যুক্তরাজ্যে ব্যাপক ছিল। আজও আমি এসব হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি।”
তিনি বলেন, “বহু বছর ধরে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীরা আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত ট্রিগার-হ্যাপি হয়ে উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতার চক্র ভাঙতে কঠোর পরিশ্রম করছে।”
ফুলবাড়ী খনন প্রকল্প নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশ এখনো স্বল্পোন্নত দেশ, কিন্তু আন্দোলনগুলো প্রায়ই এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পোস্টটি করেছি; এটি কোনো সরকারি নীতির প্রতিফলন নয়। বড় কয়লা মজুত থাকা সত্ত্বেও আমরা ফুলবাড়ী, দিঘীপাড়া ও জামালগঞ্জ থেকে কয়লা না তোলার বড় ভুল করেছি। যদি চুক্তি ত্রুটিপূর্ণ থাকে, তবে নতুন অংশীদার খোঁজা উচিত ছিল।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “গত দুই দিনে আমার লেখায় যে গঠনমূলক সমালোচনা এসেছে, তা আমি স্বাগত জানাই। তবে কিছু সমালোচক হয়তো খেয়াল করেননি, আমি পোস্টটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ক্ষমতায় লিখেছি। এর মধ্যে কোনো সরকারি পরিকল্পনার প্রতিফলন নেই।”
তিনি বামপন্থী আন্দোলনের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করে বলেন, “আমি সবসময় মানবাধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি। তবে অর্থনৈতিক বিষয়ে বামপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ভুল পথে ছিল। তাদের আন্দোলন সবসময় বাস্তবসম্মত ফল বয়ে আনেনি।”











