টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের বাসাইলে কনা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ তার পরিবারের। বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায়ও ওই গৃহবধূ কনাকে তার দুুই নুনাশ মিলে মারধর করে।
পরে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার বসত ঘরের ধন্নার সাথে ঝুঁলন্ত অবস্থায় থাকা গৃহবধূ কনা আক্তারের লাশ পাওয়া যায়।
নিহত গৃহবধূ কনা আক্তারের মা কহিনূর বেগম বলেন, ‘কনার স্বামী ও শ্বাশুরী প্রবাসে থাকায় বাকপ্রতিবন্ধী শ্বশুর ও তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিল।
কনার দুই নুনাশের জামাই বাইরে থাকায় তারাও ওই বাড়িতে চলে আসে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবিতে শ্বাশুরী, স্বামী ও নুনাশরা কনাকে মারধর করে আসছিল।
কনার স্বামী ও শ্বাশুরী প্রবাস থেকে তার নুনাশদের কাছে পাঠানো টাকা দুইজনে মিলে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবিতে নুনাশরা কনাকে মারধর করত। গতকালও আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য দুই নুনাশ মিলে মারধর করে।
পরে রাতের কোনও এক সময় তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের ধন্নার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয়।
খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগানো অবস্থায় রয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাছ মিয়া বলেন, পুলিশকে জানানো হলে তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়; এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা কিছু বলা যাচ্ছে না।’
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশ লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ সম্পাদনা – অলক কুমার