এ ধরনের সিনেমার জন্য তো দীর্ঘ প্রস্তুতির দরকার হয়। আপনার প্রক্রিয়া কী ছিল?
তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। অনেক ধরনের বই পড়তে দিয়েছিলেন সেলিম ভাই। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে বলতেন। শুধু ‘কাজলরেখা’ নয়, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে বলতেন। এভাবে চলতে চলতে একদিন পরিপূর্ণ কাজলরেখা হয়ে উঠি। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম একটা দারুণ ভ্রমণ। মহড়া ও ছবিটি করতে গিয়ে আমি যা যা শিখেছি, তা আমার অভিনয়ের পরবর্তী জীবনে দারুণভাবে কাজে দেবে।
যেদিন শুটিং ফ্লোরে গেলাম, সেদিনই। শুটিংয়ের আগে অনেক দিন গ্রুম করেছি। ক্যামেরার সামনে গিয়ে নিজেকে নতুন মনে হয়নি। তবে গ্রুম না করলে এই চরিত্র করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে অনেক নার্ভাস ছিলাম। ভাবতাম, ক্যামেরার সামনে অভিনয় পারব না, সব ভুলে যাব। পরিচালকের কাছে বকা খাব। প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সেই ভয় চলে যায়। এরপর একদিন পরিচালক সেলিম ভাই বলেন, ‘কী রে মন্দিরা, অভিনয়টা শিখে গেলি।’ সেলিম ভাইয়ের কথাটি আজও আমার কানে বাজে। আমার মতো একজন তরুণ অভিনেত্রীর জন্য এই মাপের পরিচালকের এমন কথা ভীষণ প্রেরণার।
এই পরিচালকের আগের ছবিগুলো কি দেখা হয়েছে?
সব দেখেছি। প্রথম ছবি ‘মনপুরা’ তো আমার সব সময়ের প্রিয়। আমি সম্ভবত তখন স্কুলে পড়ি, মায়ের সঙ্গে খুলনায় একটা হলে ছবিটা দেখেছি। ‘স্বপ্নজাল’সহ বাকিগুলো দেখা।