ঝিনাইদহ আদালতে জামিন নিতে এসে এক আওয়ামী লীগ নেতার পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পলাতক ওই নেতা নজরুল ইসলাম খান কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি নাটোপাড়া গ্রামের হাসেম আলী খানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নাটোপাড়া গ্রামে শাহিনুর রহমান শাহিনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নজরুলসহ ২৫ জন আসামি জামিন নিতে আদালতে যান। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী শারমিন সুলতানা শ্যামলী ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে জামিন আবেদন করেন।
তবে শুনানিতে ২৪ জন আসামি সশরীরে উপস্থিত থাকলেও মামলার এক নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম খান ওকালতনামায় স্বাক্ষর করলেও কৌশলে আদালত এলাকা থেকে পালিয়ে যান। আদালত তাকে হাজির করতে এক ঘণ্টা সময় দিলেও আইনজীবী শারমিন সুলতানা শ্যামলী তাকে হাজির করতে ব্যর্থ হন।
মামলার ২৫ আসামির মধ্যে পার্শ্ববর্তী ছোট তালিয়ান গ্রামের পাঁচ আসামির জামিন মঞ্জুর হলেও নাটোপাড়া গ্রামের ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এ ঘটনায় আদালতের একাধিক আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামীপন্থী আইনজীবী শারমিন সুলতানা শ্যামলী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আসামিদের জামিন করাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খলিল মিয়া জানান, ২৫ জন আসামিকে আত্মসমর্পণ দেখিয়ে জামিনের চেষ্টা করা হলেও আদালতে ধরা পড়ে যান আসামির অনুপস্থিতি।
এ বিষয়ে জানতে আসামিপক্ষের আইনজীবী শারমিন সুলতানা শ্যামলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঝিনাইদহ জেলা আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. মুক্তার হোসেন জানান, আদালত ১৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।