নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের টি-ভাতকুড়া গ্রামে রবি খাঁ ও তার অত্যাচারী পরিবার আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
দিন দিন তার ও তার লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
সম্প্রতি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রবি খাঁ ও তার পরিবারের লোকজন কবির হোসেনের বাড়িতে হামলা করে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও তার ছেলে কাইদীসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে মারপিট করে।
পরে উল্টো থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এতে করে কবির হোসেনের পরিবার হামলা ও মিথ্যা মামলায় পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ঘটনায় কাইদী মিয়া বাদী হয়ে গত ৮ নভেম্বর রবি খাঁ ও তার ছেলে শিহাব খাঁসহ ৫ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায় –
সাবেক যুবলীগ নেতা রবি খাঁ ও তার ছেলে শিহাবসহ পরিবারের লোকজন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
রবি খাঁর বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার কারা ভোগও করেছেন রবি খাঁ।
এরপরও সে আইন অমান্য করে এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে।
গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে কবির হোসেনের ছেলে কাইদী খালে জাল পেতে মাছ ধরতে গেলে সেখানে জালে আটকানো কিছু আগাছা পরিস্কার করে পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
পরে সেই আগাছা রবি খাঁর ছেলে শিহাব খাঁর জালের কাছে আসলে কাইদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে শিহাব খাঁ।
এ সময় শিহাব খাঁর মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এসে কাইদীকে মারার উদ্যোগ নেয়।
পরে কাইদী জীবন বাঁচাতে দৌঁড়ে নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘরে আশ্রয় নেয়।
পর মুর্হুতেই রবি খাঁ ও তার ছেলে শিহাব খাঁসহ ৫/৭জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কবির হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে কাইদীকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে এলোপাথারী মারপিট করে।
পরিবারের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করা হয়।
এ সময় বাড়ি টিনের বেড়া ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
এছাড়াও খালে মাছ ধরার পাতানো কাইদীর জাল কুপিয়ে কেটে খালে ভাসিয়ে দেন তারা।
এ ঘটনায় ৯৯৯ এ কল করলে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় কাইদীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাড়িতে গিয়ে হামলা ও মারধর করে আহত করে রবি খাঁ।
আবার উল্টো আহতদের কবির হোসেন ও তার ছেলে কাইদীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে কাইদী মিয়া বাদী হয়ে রবি খাঁসহ ৫ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মডেল থানায় প্রেরণ করেছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার