নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে’র বিরুদ্ধে রিমা রায় (৩১) নামের এক নারীকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ওই নারী বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
রিমা রায় শহরের আকুরটাকুরপাড়া ছোট কালিবাড়ী এলাকার স্বপন দাসের মেয়ে। বর্তমানে ও নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি বিকেলে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজের রাস্তা ধরে হাটতে বের হন রিমা রায়।
এ সময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে (৪৭) ও টুকু দে’সহ (৪০) অজ্ঞাত কয়েকজন তাকে অকথ্য অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করে।
এ সময় তারা এসিডে ঝলসে চেহারা বিকৃত করে দেয়ার হুমকিও দেয় ওই নারীকে।
সুযোগ পেলে খুন করে ফেলা হবে বলেও ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বিবাদিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বিবাদিরা যে কোন সময় রিমা রায় ও তার ছেলের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
রিমা রায় বলেন, কিছুদিন আগে শহরের ছোট কালিবাড়ি মন্দির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
এসময় অনিয়মের মাধ্যমে মন্দির কমিটি গঠনের পেছনে আনন্দ মোহন দে’র হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
এ সময় আমিও বক্তব্য রাখি মানববন্ধনে। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। আমি তো কোন অন্যায় আচরণ করিনি।
আমি শুধু বলেছিলাম- মন্দির মসজিদ নিয়ে কেন রাজনীতি হবে। মন্দির মসজিদ হলো প্রার্থনার জায়গা, শান্তির জায়গা।
মন্দিরের বিষয়ে কথা বলার জন্যেই আমাকে হুমকি দিয়েছে আনন্দ মোহন দে।
অভিযুক্ত ও পুলিশের বক্তব্য –
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, আমি শুনেছি মেয়েটি একটি লিখিত অভিযোগ নাকি দিয়েছে।
সে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আওতায় আমার প্রতিষ্ঠানে পড়তো। সে আমার সরাসরি ছাত্রী ছিল।
তার অভিযোগগুলো সত্য নয়। সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। আমিও তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সোহেল বলেন, ছোট কালিবাড়ী এলাকার একটি মন্দিরের কমিটি নিয়ে পুরাতন ও নতুন দুই পক্ষের বিরোধ চলছে।
আমি এ বিষয়ে ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে এসেছি। তদন্ত চলছে। তবে দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ দিচ্ছে। মূলত মন্দির কমিটি নিয়েই মূল সমস্যা দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, তিন আগে ওই নারী বাদি হয়ে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার