সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে শিউলি আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, শিউলি আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে গুমাইল এলাকায় আমজাদ বেপারীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের শিউলি আক্তার ছাড়াও সুমন মিয়া (৩০), মোছা. সূর্য্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল (৩৮), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও মোছা. সুরাহা (৩) দগ্ধ হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গোমাইল এলাকার আমজাদ বেপারীর মালিকানাধীন দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় সুমন নামের এক ব্যক্তি দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। রাতে তার ভাই সোহেলের পরিবার বেড়াতে আসে সেখানে। সোহেল অন্য স্থানে ভাড়া থাকতেন।
শবেবরাত উপলক্ষে পিঠা বানানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের পরিবারের শিশু, নারীসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়।দগ্ধ সোহেল রানা বলেন, শবেবরাত উপলক্ষে আমার ভাই সুমনের বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ ঘরে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আমাদের পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়। দগ্ধদের ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।