টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল গ্রামের ২১ বছর বয়সী এক নারী করোনা আক্রান্ত হয়েছে, জানান টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহীদুজ্জামান। এই খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন ওই ঠিকানায় ঐ নামের নারী বাড়িতে নাই, কোথায় আছেন কেউই জানেন না।
এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ। তাই মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাকিং করে জানা যায় মেয়েটি সখীপুর উপজেলার নলুয়ায় অবস্থান করছে। সেখানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সকাল থেকেই সদরের সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মীরা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ হন্যে হয়ে তাকে গ্রাম থেকে গ্রামে খুঁজতে থাকে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নিবাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম খবরবাংলা২৪ ডট কমকে জানান, সারাদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টার পর আক্রান্ত ওই নারীর খোঁজ পাই। জানতে পারি, তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামে তার মায়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সহকারে সেখানে গিয়ে দেখি ভিন্ন চিত্র।
সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ওই মহিলা গত ০৯ মে (শনিবার) টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে আজ মঙ্গলবার (১২ মে) সকালে ছাড়া পেয়ে তিনি তার মায়ের বাড়ি তারুটিয়ায় চলে এসেছেন। এর আগে হাসপাতালে ভর্তির পরপরই এই মহিলার স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। কিন্তু স্যাম্পল সংগ্রহের সময় তার স্বামীর মোবাইল নাম্বার দেয়া ছিল। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর ডিটেইলস লিপিবদ্ধ না করে স্যাম্পল কালেকশন করে।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই বাড়িটিসহ আশেপাশের বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়। এদিকে ওই তিনদিনের বাচ্চার জন্য জন্য গুড়োদুধ, আক্রান্ত মহিলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া উপহার সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া লকডাউন করা প্রতিটি পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী সহ সকল ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। সকলকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করলে তারা ঘর থেকে বের হবেনা মর্মে প্রতিশ্রæতি দেন।