টাঙ্গাইল সদর
,
সংবাদ দাতা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী একসাথে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুস সালাম পিন্টু এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে তার ছোট ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়নপত্র নেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে তারা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি মো. হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আজগর আলী এবং জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সাংবাদিকদের বলেন, “আচরণবিধি মেনে আমরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। টাঙ্গাইল সদরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এলাকার উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং ও মাদকমুক্ত নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে চাই। সকলকে সঙ্গে নিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য পথচলা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য সবার দোয়া কামনা করি।”
উল্লেখ্য,
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর–ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগ করেছেন।
অন্যদিকে, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবারই প্রথম টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতির অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকার কারণে একাধিকবার মামলা ও গ্রেপ্তার হয়েছেন। দলের সূত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি প্রায় ৩৫০টি হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন এবং ১২ দফা কারাভোগসহ মোট প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে ছিলেন। এছাড়া তিনি ৪৬ দিন টানা রিমান্ডেও ছিলেন।











