নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল বিপ্লব ও রাহাত।
এ সময় বিপ্লবকে কয়েকবার এতিম বলে রাহাত। এ কারণে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিপ্লব।
পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কিনে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়।
সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় ফ্যাস দেয়।
এসময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরো কয়েকবার ব্লেড চালায় তার গলায়। পরে সে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদা-মাটির মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে।
মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে রাহাতের মোবাইলটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে গোসল করে এবং রক্তমাখা জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলে বিপ্লব।
এভাবেই র্যাব-১২ এর কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয় কালিহাতী উপজেলার বানিয়ারা গ্রামের নবু মিয়ার ছেলে ও রাহাতের হত্যাকারী বন্ধু বিপ্লব (১৪)।
এর আগে ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার (২৫ মার্চ) তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাব।
সিপিসি-৩ র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান, রাহাত ও বিপ্লব দুই বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি।
পরে বিপ্লবের ঘর থেকে তার জামা-কাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য গত বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে রাহাতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। উপজেলার বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সম্পাদনা – অলক কুমার