বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, দেশের দুই প্রাক্তন শাসক – এরশাদ ও শেখ হাসিনার চরিত্রে কোনো পার্থক্য ছিল না। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “এরশাদ ও শেখ হাসিনার মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না। তারা প্রকাশ্যে মুখোমুখি থাকলেও শেষ মুহূর্তে এক হয়ে গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে। উভয় শাসনামলে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইকোনমিকস শব্দ থাকলেও শেখ হাসিনার ১৫ বছর সাড়ে পাঁচ বছরের শাসনে যা হয়েছে তা হলো ‘হাসিনোমিকস’। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হলেও তা ফেরত না দেওয়ার সুযোগ ছিল। পরিশোধ না করেও নতুন ঋণ নেওয়ার নীতি ছিল কার্যকর।”
রিজভী উল্লেখ করেন, “দেশ বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বোঝা নিয়ে চলছে। নতুন সরকারকে অর্থনীতিকে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, তবুও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে না, বেকারত্ব বাড়ছে, এসব বিষয়ে সরকারকে নজর দিতে হবে।”
সর্বশেষ ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, “দুটি ভল্ট থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। ভল্টে আরও স্বর্ণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই স্বর্ণ শেখ হাসিনা বা তার দলের ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি কি না, তা শিগগিরই প্রকাশ পাবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।











