নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বৃহত্তম হাটগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইলের করটিয়া অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হাট।
বেশ কয়েকবছর যাবত এই হাটের ইজারা মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৬% এর বেশি বাড়েনি।
কিন্তু এ বছর করটিয়া হাটের ইজারা মূল্য হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ টাকার বেশি ছাড়িয়েছে।
যা বিগত বছরের গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ফলে এই হাট থেকে সরকারের কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হবে।
বিষয়টি খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
তবে এই রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে ইজারাদারদের কাছে সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কোন হয়রানীর শিকার হবে কিনা সংশয় রয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মককর্তার কার্যালয় থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাটসহ ১৮ হাট বাজারের দরপত্র আহবান করা হয়।
গত ২৮ ফেব্রæয়ারি দরপত্র খোলার শেষ দিন ছিল। একই দিনে বিকেল চারটায় দরপত্র খোলা হয়।
এতে দেখা যায় মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দরপত্র দাখিল করেছে।
প্রায় দুই কোটি ২৩ লাখ টাকায় দরপত্র দাখিল করে ওই ইজারাদার।
গত বছর করটিয়া হাটের ইজারা মূল্য ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০৭ টাকা।
এ ব্যাপারে করটিয়া হাটের কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় দ্বিগুণ দরে ইজারা নেয়ার কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় বেশী হবে।
তবে এত বেশী টাকায় ইজারা নিয়ে ইজারাদার আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রানুয়ারা খাতুন বলেন, বিষয়টি খুবই ইতিবাচক।
কারণ সরকার এই হাট থেকে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পাবে। করটিয়া হাটের ইজারা পেতে ১০ জন ইজারাদার অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি জানান, প্রতি বছর ৬% হারে দর বৃদ্ধি পায়। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দরদাতাদের প্রতিযোগিতার কারণে হাট বাজারের ইজারা দর আরো বেড়ে যায়।
তবে সমস্যা হচ্ছে অনেক সময় ইজাদাররা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে টাকা জমা না দেওয়ায় দ্বিতীয় দরদাতাকে ইজারা দিতে হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার