কালিহাতী সংবাদদাতা : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
এরই মধ্যে প্রস্তু হয়ে গেছে মন্ডপগুলো।
ভাষ্কর্য শিল্পীরা (কারিগররা) রাত-দিন ব্যস্ত আছেন প্রতিমা তৈরির কাজে। শিল্পীরা দিচ্ছেন শেষ তুলির ছোঁয়া।
এবছর উপজেলার ১৩৯টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাটির কাজ শেষ করে কারিগররা প্রতিমার রং তুলি ও সাজ সজ্জার কাজ শুরু করেছেন।
মহামারী করোনার কারণে এবার দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান হতে চলছে।
প্রতি বছরের মতো এবার পূজার সেই পুরোনো সংস্কৃতি অনেকটা লুকিয়ে থাকবে অগোচরে।
পূজার মন্ডপগুলোতে নানা ধরণের আয়োজন থাকছে না।
মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সবক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশ।
গত বছর ছিল ১৭৮টি প্রতিমা। এই পূজা দেখতে আসেন অনেক ভক্তরা।
দূর্গাপূজা চলাকালে ঐ এলাকা উৎসবের আমেজে পরিনত হয় প্রতি বছর।
এছাড়াও কালিহাতী কেন্দ্রীয় জয়কালি বাড়ি মন্দির, দক্ষিণ বেতডোবা ভোলানাথ স্মৃতিসংঘ, উত্তর বেতডোবা কেন্দ্রীয় জয় কালি মন্দির, উত্তর কালিহাতী নাট মন্দির, এলেঙ্গা জমিদার বাড়ি মন্দিরে চলছে সুসজ্জিত পূজার আয়োজন।
দক্ষিণ বেতডোবা ভোলানাথ স্মৃতি সংঘ পূজা মন্ডপের মূল কারিগর কৃষ্ণ চন্দ্র পাল বলেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অনুসারে দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
তিন মাস ধরে সাতজন কারিগর তাদের নিপুন হাতে ১৮টি প্রতিমা তৈরির কাজ করে চলেছেন।
শেষ সময় রং তুলির কাজ পুরাদমে চলবে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কালিহাতী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সেন বলেন, ১৩৯টির মত মন্ডপে সরকারি আইন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা ও বন্যার কারণে গত বছরের তুলনায় এই বার পূজা মন্ডপ কম। ২২শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত দূর্গাপূজা চলবে।