টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তাতঁশিল্প এলাকা বল্লা বাজার ও রামপুর ভাষানী মার্কেটে ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দুরত্ব না মেনে চলছে দোকান পাট। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতা বিক্রেতা কেউ মানছেন না সামাজিক দুরত্ব। কোন দোকানে নেই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে নেই মাক্স । দেখা যায়নি প্রশাসনের তৎপরতা।
বৃহস্পতিবার সকালে বল্লা বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুর ভাষানী মার্কেট ও বল্লা বাজারের বটতলা, বঙ্গবন্ধু রোড, সোনালী ব্যাংক রোড, আলোছায়া সিনেমা হল রোড, মেইন রোড, স্কুল মার্কেটের গার্মেন্টের দোকান, জুতার দোকান, থান কাপড়, কসমেটিক্স, মনোহারী দোকানে উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। তারা জানেই না করোনা কি? নেই কোন সচেতনতা।
বল্লা ও রামপুর বাজার তাঁত শিল্প এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সবধরনের পণ্য সচরাচর পাওয়া যায়। যার ফলে পাশর্^বর্তী উপজেলা সখীপুরের পশ্চিমাঞ্চল বাসাইলের উত্তরাঞ্চল টাঙ্গাইল সদরের উত্তর পূর্বাঞ্চলের শত শত মানুষ বল্লা ও রামপুর বাজারে কেনা কাটার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন। এ ছাড়াও বল্লা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন তো আছেই। গত ১৪ মে থেকে টাঙ্গাইল শহরের শপিংমল পুনরায় বন্ধ ঘোষণা করায় তার প্রভাব কিছুটা পড়েছে এই দুই বাজারে।
বল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হাসান লাভলু জানান, বল্লা বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা।এ ভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করতে পারে।
বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বল্লা বাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হাজী চান মাহমুদ পাকির জানান, দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী গত ১০ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে বল্লা বাজারে দোকান পাট খোলা হয়।দোকান পাট খোলার পর ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা সামাজিক দুরত্বসহ সকল প্রকারশর্ত ভঙ্গ করে বেচা কেনা করছে।এতে ঝুকিতে পড়ছে বল্লা রামপুর সহ আশেপাশে গ্রামগুলো।এ অবস্থায় বল্লা ও রামপুর ভাষানী মার্কেট পূনরায় লকডাউন করা জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য কর্মী, এক পুলিশ সদস্যসহ ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে কালিহাতী উপজেলায়।