কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা ইউনিয়নের কসাইভিটা, বেড়িবাঁধ, নামাবাড়ি, মান্দাঈলের রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় তদন্ত ও অভিযানে নামে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
যার ধারাবাহিকতায় রবিবার (৯ মার্চ) রাতে মডেল থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রাব্বি (২৫), রনি (৩৪), মো. জাহাঙ্গীর (৩৪), রাব্বি (২৫), শুভ (২৪), রোমান (৩০)। পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রেপ্তাররকৃতরা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ রাতের আঁধারে রাস্তায় ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
বিগত মাসে ও চলতি মাসের শুরুতে তারা জিনজিরা কসাইভিটাসহ বিভিন্ন স্থানে পথচারী ও যাত্রীদের ধারাল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।জিনজিরার বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, কসাইভিটা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। জিনজিরা বাজার ও চক বাজারের ব্যবসায়ীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
গত কয়েকদিন যাবৎ হঠাৎ করেই এই রাস্তায় রাতের বেলা ছিনতাই হওয়াটা বেড়ে গেছে, যা কখনো চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ী রানা বলেন, পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার জন্য। এরা কয়দিন আগেও রাতের বেলা রিকশা থামিয়ে এক লোককে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে টাকা-পয়সা ছিনতাই করেছিল। পুলিশ এদের গ্রেপ্তার না করলে এই অপরাধ আরো বেড়ে যেত। এই অপরাধীদের থেকে খবর নিয়ে এদের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ সেটাও খুঁজে বেড় করবে বলে আমি আশা করছি।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কেরানীগঞ্জের সর্বস্তরের নাগরিকগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চুরি ছিনতাই, ডাকাতির মতো অপরাধ নির্মূলে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েকদিনে জিনজিরা এলাকায় কয়েকটা ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পেরে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ছায়াতদন্ত ও অভিযানে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এই ছয় ছিনতাইকারী ও ডাকাতকে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ছিনতাই ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।