ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গাইল দও খননের দাবী এলাকাবাসীর

কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের মান্দুরিয়া গ্রামে অবস্থিত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রায় ৭ একরের বেশি জায়গা জুড়ে অবস্থিত বিশাল জলাভুমি রাঙ্গাইল দও।

কালের বিবর্তনে দওটি এখন মৃত। এর চারপাশ অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছে। দওয়ের তল দেশ ভরাট হয়ে গেছে।

সেখানে দখলদাররা চাষ করছে পাট’সহ বিভিন্ন রকমের ফসল। প্রতি তিন বছর পর পর দও’টি মৎস্য চাষের জন্য ইজারা দেন সরকার।

কিন্তু জলাভৃমি হিসাবে ইজারা দিলেও সারা বছরই থাকে পানি শূন্য। এতে মাছ চাষের জন্য ইজারা দিলেও সেই উদ্যেশ্য সফল হচ্ছে না।

তাই বর্তমান ইজারা বিটকারী সাখাওয়াত হোসেনসহ আশেপাশের গ্রামের মানুষ বিশাল জলাভুমির এই রাঙ্গাইল দও’টি খননের মাধ্যমে প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরে আনার দাবী জানিয়েছেন।

এই দওটির চারপাশে মান্দুরিয়া, চামুরিয়া, মহেলা, আকুয়া, নিগুইর গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস।

এদের অধিকাংশই করে তাঁতী, জেলে, কৃষকসহ নিম্নআয়ের শ্রেণীভূক্ত।

ওই সব এলাকার কৃষক তাদের ফসল উৎপাদনের জন্য রাঙ্গাইল দও’য়ের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করতো।

একসময় এই জলাশয়টি ওই এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষের জীবন-জীবিকা তথা তাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ ছিল।

জেলেরা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চৈত্র মাসেও দওটিতে থাকতো অথৈ পানি।

দওটির তীরে গড়ে উঠেছে মান্দুরিয়া কেন্দ্রীয় ঈদ গা মাঠ, কবরস্থান।

মান্দুরিয়া কেন্দ্রীয় ঈদ গাঁ মাঠের সভাপতি স্থানীয় কৃষক আইনুল হক জানান, এক সময় এই এলাকায় প্রচুর পাট চাষ হতো।

ফলে পাট চাষ বন্ধ করে দেয় কৃষকরা। কৃষকের উৎপাদিত ফসল ফলানের স্বার্থে সরকারের কাছে দওটি খননের দাবি জানান তিনি।

তার সাথে সুর মিলিয়ে মিলন সরকার, মজনু মিয়া, আতোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জানান. চারপাশের অবৈধ দখল মুক্ত করে; মুক্ত জলাশয়ে মাছ করে দেশের মানুষের আমিষের ঘাটতি পূরণ; ফসল উৎপাদনের জন্য পানি সেচের ব্যবস্থা করাসহ প্রাচীণ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার স্বার্থে দওটি খনন করার দাবি জানান তারা।