জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গরু চুরি করে ভুরিভোজের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ মুক্তা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি হওয়া গরুর মাথা ও চামড়া উদ্ধার করে। এ সময় সুমন ও বজলু রহমান নামে দুইজনকে আটক করে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার পর গরুর মালিক মাদারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলার খামার মাগুরা গ্রামের আফাজ মন্ডল জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ঘুম থেকে উঠে গোয়ালে গিয়ে তার একটি ষাঁড় গরু না দেখতে পেয়ে তিনি ও তার আত্মীয়-স্বজনরা চারদিকে গরুটি খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান মুক্তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বিরিয়ানি রান্না করা হচ্ছে। এ সময় তিনি তার হারিয়ে যাওয়া গরুর চামড়া ও মাথা দেখে সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমন ও বজলুর রহমান (কসাই) নামে দুইজনকে আটক করলেও মাহমুদুল হাসান মুক্তা পালিয়ে যান। মাদারগঞ্জ থানার এসআই ওয়াজিউর রহমান জানান, আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থল দক্ষিণ কয়রা গ্রামের মাহমুদুল হাসান মুক্তার বাড়িতে গিয়ে উত্তেজিত সহস্রাধিক লোকের মধ্য থেকে সুমন ও বজলু কসাইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মুক্তা এ সময় পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার মাদারগঞ্জ থানায় আটককৃত দক্ষিণ কয়রা গ্রামের সুমন, বজলু রহমান ও মাহমুদুল হাসান মুক্তাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদুল হাসান মুক্তার মোবাইল ফোনে অনেকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী জানান, তাদের বাড়িতে প্রতিবছরই গরু জবাই করে লোকজনকে খাওয়ানো হয়। এই গরুটি গরুর মালিকের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে। তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। মাদারগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।