গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তাঁর স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে গৃহকর্মী শিশুটির বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে ওই মামলায় সাবিনা ও সোহাগকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানাহাজতে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত সাবিনা ইয়াসমিন শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ও তাঁর স্বামী সোহাগ দুজনই শাবিপ্রবির গ্র্যাজুয়েট।
পুলিশ জানায়, দুই সপ্তাহ ধরে ১২ বছরের কিশোরী গৃহকর্মীকে নানা অজুহাতে বেধড়ক মারধর করে আসছেন সাবিনা ও সোহাগ। কয়েক দিন আগে লোহার জিআই পাইপ দিয়েও নির্মমভাবে মেরে তাকে বাসায় আটকে রাখা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ওই গৃহকর্মী তাদের বাসা থেকে পালিয়ে যায় এবং পাশের বাসার আরেক গৃহকর্মীর সহযোগিতায় জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে নির্যাতনের কথা জানায়।
পরে দ্রুত গিয়ে সিলেট আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ওই দম্পতিকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার।
এরপর রাত ১২টার দিকে গৃহকর্মী শিশুটির বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে ওই মামলায় সাবিনা ও সোহাগকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানাহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান ওসি সেলিম মিয়া।
এদিকে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক জানান, নির্যাতিত শিশুটিকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘নির্যাতিত গৃহকর্মীকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পুলিশের ভিকটিম সার্ভিস সেন্টারে রাখা হয়েছে।’