ঘাটাইলে নির্যাতিতা সন্ধ্যা পাচ্ছেন পাকা ঘর; বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা

মোস্তফা কামাল নান্নু, বিশেষ প্রতিবেদক : 

গাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার ঘাটাইলের আদিবাসী নারী সন্ধ্যাকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর বরাদ্দ দিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।

এছাড়াও তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার সঞ্জিব কুমার রায়।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপজেলার মালিরচালা গ্রামে সন্ধ্যা রানীর বাড়ি পরিদর্শন করেন।

নির্যাতনের ঘটনায় সন্ধ্যা রানীর করা মামলায় আসামিরা সব জামিনে মুক্ত। তাই নিজ বাড়িতে থাকতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন তিনি।

সন্ধ্যা রানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অপরাধীদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, সন্ধ্যা রানী আজ থেকে তার বাড়িতেই থাকবেন। যে ধরনের নিরাপত্তা তিনি চান, তাকে সেই ধরনের নিরাপত্তাই দেওয়া হবে। ফোনে আমরা সব সময় তার খোঁজখবর রাখব। সকালে ও বিকেলে একবার করে পুলিশ এসে তার সঙ্গে দেখা করবে।

মামলার এজাহারে কোনো দুর্বলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সে অনুসারেই ধারা বসানো হয়েছে।

তদন্তে যদি আমরা দেখি এর চেয়েও কঠিন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তবে আমরা পুলিশ প্রতিবেদনে কঠিন ধারা যোগ করে দিতে পারব।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে, আইন অনুসারে তাদের বিচার অবশ্যই হবে। আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিন পেলেও আমাদের পর্যবেক্ষণের বাহিরে চলে যায়নি। আমরা জানতে পেরেছি তার (সন্ধ্যা) ঘরবাড়ি নেই, যা আছে তা বন বিভাগের সম্পত্তি।

এসময় তিনি বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রকল্পের একটি পাকা ঘর ৩০ দিনের মধ্যে তাকে দেওয়া হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। আজ সাময়িকভাবে আমার ও পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা তাকে দেওয়া হলো।

তিনি আরো বলেন, সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তাকে দেওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার