চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের খোঁজ মেলেনি। অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, দুর্গম পাহাড়ি পথ, দুর্বল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিং সমস্যার কারণে অভিযান পরিচালনায় কিছুটা বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়টিই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে এখনো পর্যন্ত পুলিশ কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে। তবে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) অভিযোগ করেছে, এই অপহরণের সঙ্গে ইউপিডিএফ (প্রসীত) জড়িত।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বৈসাবি উৎসব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহৃত হন তারা।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং রাঙামাটি ও বান্দরবানের বাসিন্দা। অপহৃতদের মধ্যে রিশন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার সদস্য।