খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়া উচিত, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী চক্র বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করছে। কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলা তারই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ এবং ছাত্রদের নিরাপত্তার দাবি জানান। সংগঠনটির সদস্য নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, ‘আমরা বোধ হয় ৫ আগস্ট ভুলে যাচ্ছি। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে বিজয় অর্জন করেছিলাম তার মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে পারি, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। কিন্তু যা ঘটছে তা আশার বিপরীত।
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করে।’ দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, ‘কাউকে কোনো ট্যাগ দিয়ে হামলা করার কোনো অধিকার বা আইন পৃথিবীর কোথাও নেই। কিন্তু বাংলাদেশে ট্যাগিং দিয়ে হামলা করাকে বৈধভাবে দেখা হতো ফ্যাসিস্ট আমলে। ট্যাগ দিয়ে আবরারকে শহীদ করা হয়।
আমরা ক্যাম্পাসগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ চাই। ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখতে চাই না। শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিটি ক্যাম্পাসে নিশ্চিত করা হোক, এটাই আমাদের চাওয়া। কুয়েটে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নিরাপদ ও লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের অধিকার। এই অধিকারের কথা বলায় তাদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব অন্য শিক্ষার্থীর বিপদে পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য কথা বলা। শুধু একাডেমিক পড়াশোনা মধ্যে বন্দি রাখা শিক্ষার মূল্যবোধ নয়।’