টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ছাত্ররা চাঁদাবাজির অভিযোগ আনলো ইউএনও’র বিরুদ্ধে

প্রত্যাহারকৃত ইউএনও হাসান বিন মোহাম্মদ আলী
প্রত্যাহারকৃত ইউএনও হাসান বিন মোহাম্মদ আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলে নিহত স্কুল ছাত্র মারুফ হাসান ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ও এজাহারভূক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের বক্তব্যের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পরে ছাত্র জনতার দাবির মুখে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ইউএনও হাসান বিন মোহাম্মদ আলী।

আরো পড়ুন – আহমেদ আজম একটি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। দাবি জেলা বিএনপি’র

প্রত্যাহারের পর তিনি সারাদেশে সকল শহীদের পরিবার ও ছাত্র জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও তুলেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেই  টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুর বক্তব্য দেওয়াকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কায়সারুল ইসলাম উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করে।

কিন্তু উপস্থিত ছাত্ররা মজনু চৌধুরীর গ্রেফতার দাবি ও হত্যাকাণ্ডের জড়িত ইউপি চেয়ারম্যানকে শহীদ মারুফের মায়ের উপস্থিতিতে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রত্যাহার দাবি করে স্লোগান দিতে শুরু করে।

পরে দুপুরে ছাত্র-ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে না গিয়ে কার্যালয়ের সামনে বসে পরে।

সেখানে জেলা প্রশাসক উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের জানান টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে টাঙ্গাইল থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করা হয়েছে।

তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে চাঁদা না দেয়ায় শিল্পপতির বাসায় হামলা

কিন্তু উপস্থিত ছাত্ররা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদ মারুফের মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

ছাত্র-ছাত্রদের প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহারকৃত ইউএনও সেখানে উপস্থিত হয়ে মারুফের পরিবার ও উপস্থিত সকলের কাছে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।