জীবনের সব ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর গোলামী ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে আর্ত-মানবতার ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, জীবনের কোন পর্যায়েই কারও পক্ষেই ইসলামী আন্দোলন থেকে অব্যহতি নেওয়ার সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই আন্দোলনে অবিচল থাকায় ঈমানের বড় দাবি।
রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মোহাম্মদপুর মধ্য থানা জামায়াত আয়োজিত সাবেক সাথী ও সদস্যদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। থানা আমির মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইমরান আলীর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জোন টিম সদস্য আব্দুল ওয়াজেদ কিরন, মোহাম্মদপুর দক্ষিণ থানা আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
‘জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনে অবিচল থাকাই ঈমানের দাবি’
‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে’
ড. রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কোন প্রকার আবেদন ছাড়াই মনুষত্ব দিয়ে মানুষ বানিয়েছেন। কিন্তু অন্য প্রাণীকে তা দেওয়া হয়নি। অথচ মানুষকে অন্য প্রাণীর তুলনায় খুবই দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। মূলত, বুদ্ধি-বিবেকের দিক থেকেই মানুষ সৃষ্টির সেরা এবং অন্য প্রাণীর চেয়ে আলাদা। এই বুদ্ধিমত্তা দিয়েই মানুষ পৃথিবীর সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছে।
মূলত, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে খলিফার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাই আমাদের পক্ষে কোন অবস্থায় আল্লাহর হুকুমের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর দাসত্ব মেনে নিয়ে সবাইকে আত্মগঠনে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদের শুধু ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তাই তার আদেশ পালনে আমাদের বিবেককে সব সময় সক্রিয় ও জাগ্রত রাখতে হবে।
কারণ, মানুষের সাফল্য-ব্যর্থতার মানদণ্ডই হচ্ছে বিবেক এবং আল্লাহর কাছে জবাবদিহীর অনুভূতি। তিনি ইসলামী আন্দোলনের বাধা- প্রতিবন্ধকতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। তাই সব বাধা- প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে মনের মধ্যে ভয়ভীতি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক। জেল-জুলুম এবং দুনিয়াবি ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবে আমরা আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ি।
ফলে সংগঠনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। মূলত, জীবনের কোন পর্যায়েই কারও পক্ষেই ইসলামী আন্দোলন থেকে অব্যহতি নেওয়ার সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই আন্দোলনে অবিচল থাকায় ঈমানের বড় দাবি। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠাকে জীবনের ব্রত হিসাবে গ্রহণ করার জন্য ছাত্র আন্দোলনের সাবেকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।