জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে নির্বাচন হলে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাদের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতিতে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দেশদ্রোহী হিসেবেও আখ্যায়িত করা হতে পারে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে পেট্রোবাংলা ভবনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তারা এই মন্তব্য করেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, “জুলাইয়ের চেতনা যেন হারিয়ে না যায়, সেই বিষয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতিকদের সচেতন থাকতে হবে।” তারা বলেন, “এই চেতনার ভিত্তিতেই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আসতেই হবে। কেউ নিজের দায়িত্ব না পালন করলে, কিংবা অন্যায় করলে, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, আহত জুলাই যোদ্ধা হোসাইন আহমেদ, এবং শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা শহিদুল ইসলাম ভূইয়া।
বক্তারা মনে করেন, জনগণের দাবি বাস্তবায়নে জুলাই ঘোষণা ও সনদ অবলম্বন করেই রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হওয়া উচিত। অন্যথায়, জাতীয় ঐক্যের দাবি খণ্ডিত হবে বলেও মত দেন তারা।