জোড়াতালি দিয়ে চলছে ভূঞাপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহ, ঝুঁকিতে জনজীবন

ভূঞাপুর সংবাদদাতা : জোড়াতালি দিয়ে চলছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ; আর এতে ঝুঁকিতে পড়েছে জনজীবন। অন্যদিকে লাইন সংস্কারের জন্য বরাদ্দেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ২০১৭ সালে ভূঞাপুরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১২৩.৯০ কোটি টাকা। বরাদ্দে ৮২৬ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয়।

এছাড়াও প্রতি বছর লাইন সংস্কার, খুঁটি, তার, ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মালামালের জন্য বরাদ্দ আসে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ আসে।

তারপরও শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষনার সাড়ে ৪ বছর অতিক্রম হলেও এর সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

খাম্বা বাণিজ্য, লাইন বাণিজ্য, ট্রান্সফরমার বাণিজ্য যেন নিত্তনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

টাকা ছাড়া যেন কোনোকিছুই হয় না এ অফিসে। অথচ বিনামূল্যে এসব সুবিধা পাওয়ার কথা গ্রাহকদের।

এছাড়াও ভুতুড়ে বিল আর লোডশেডিংয়ের বাড়তি বোঝা তো রয়েছেই।

এদিকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলায় এখনো মরা বাঁশ ও গাছের মধ্যদিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেয়া হয়েছে।

অনেক জায়গায় তার মাটিতে ছুঁই ছুঁই। বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের।

দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলছে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ রকম চিত্র দেখা গেছে অহরহ।

চেংটাপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, তার বাড়ির সামনে দিয়ে জরাজীর্ণ একটি বিদ্যুতের লাইন গেছে।

এ লাইনে দুটি গরু ও পুকুরের ১৫ হাজার টাকার মাছ মারা যায়। লাইনটি সংস্কারের জন্য ৭ মাস আগে আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত লাইনটি সেই অবস্থাতেই রয়ে গেছে।

গোবিন্দাসী গ্রামের আবুল কালাম জানান, গোবিন্দাসী স্কুল রোডে লাইনটি জরাজীর্ণ। মাথা ছুঁই ছুঁই। মরা বাঁশ দিয়ে লাইন টিকিয়ে রাখা হয়েছে।

দড়ি আর ছেঁড়া কাপড় দিয়ে তার বেঁধে রাখা হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বিদ্যুৎ অফিসে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ শত শত গ্রাহকের।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়ার অফিসশিয়াল (০১৭৫৫-৫৮১৩৮৯) নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা করা মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। সম্পাদনা – অলক কুমার