চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়, এটি একটি উপসর্গ বা শরীরের সতর্কবার্তা। সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে শুরু করে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত নানা সংক্রমণেই জ্বর হতে পারে। করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া—এ ধরনের অনেক রোগেরই প্রথম লক্ষণ জ্বর। এছাড়া টিকা গ্রহণ, টিউমার, ফোড়া, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, প্রস্রাবের সংক্রমণ, মাসিক বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও জ্বর হতে পারে।
বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, ‘বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে এসেই অনেকে এসির নিচে চলে যান বা ঠাণ্ডা পানি পান করেন। এই গরম-ঠাণ্ডার তারতম্যের কারণেও জ্বর-সর্দি দেখা দিতে পারে। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় টাইফয়েড ও পানিবাহিত রোগও বেড়ে গেছে।’
তবে বেশিরভাগ মৌসুমি জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি। ডা. লেলিন বলেন, ‘এ ধরনের জ্বর সাধারণত প্যারাসিটামল খেলেই সেরে যায়। অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। তবে জ্বর যদি সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’