টাঙ্গাইলের নিহত কালচারাল অফিসারের জানাযা শেষে রংপুরে দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে।

রোবববার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের জানাযা সম্পন্ন শেষে লাশ বাবার বাড়ি রংপুরের রোমানতলায় দাফন করা হয়েছে।

রেদওয়ানা ইসলাম ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

তার পলাতক স্বামী সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ী পাবনায়।

জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনিসহ টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ জেলার সকল স্তরের সাংস্কৃতিক কর্মী।

এদিকে রেদওয়ানা খুনের মামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমান মিজানকে (৪৫) ধরতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের ধারণা পরিবারিক বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

মামলার বাদী নিহতের ভাই খন্দকার আসাদুল ইসলাম আবিদ বলেন, ২০১৯ সালে আমার বোনের সাথে ব্যাংকার মিজানের বিয়ে হয়।

বিয়ের পরে জানতে পারি ও আরেকটি বিয়ে করেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আমার বোনের সাথে মিজানের ঝগড়া বিবাদ হতো; আমার বোনকে খুন করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

হাসপাতালে আমার বোনকে মিজানই খুন করেছে। আমরা দ্রুত খুনীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, চোখের সামনে আর কারো যেন অকালে তার বোনের লাশ দেখতে না হয়।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার এসআই শাহ্জাহান খান বলেন, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল। বিরোধ মিমাংসা করতে জেলা কর্মকর্তারা একটি উদ্যোগও নিয়েছিলেন।

সেই কলহের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। আসামী মিজানুর রহমানকে ধরতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি অতি দ্রুতই ধরা পরবে।

এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সব মহলে ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।

তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি; যাতে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে আর কেউ সাহস না পায়। সম্পাদনা – অলক কুমার