টাঙ্গাইলে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও খুচরা বাজারে দাম এখনো বেশি অবস্থায় রয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় শিম বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে—প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায়, যেখানে গত বছর ৫০-৬০ টাকা দামে পাওয়া যেত। একইভাবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, আলু, মুলা, শালগমসহ অধিকাংশ শীতের সবজি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন আলুও বাজারে উঠেছে, তবে দাম চড়া; মানভেদে প্রতি কেজি ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের দামের তুলনায় ৫ টাকা বেশি। খুচরা বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মুরগি ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
দেশি মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম কমেনি। ইলিশের দাম ৩০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ১০০০ থেকে ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে শিং ৩৫০-১২০০ টাকা, রুই ৪০০-৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০-২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৮০০ টাকা এবং অন্যান্য ছোট মাছও তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা। দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডালের মধ্যে দেশি মসুর ১৬০ টাকা, মুগ ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারি ১৪০ টাকা প্রতি কেজি।
মুরগি ও ডিমের বাজারেও দাম অচল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, ডজন ফার্ম ডিম ১২০-১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার, ছয়আনি বাজার, সিটি বাজার, আমিন বাজার ও সন্তোষ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালে সবজির সরবরাহ বাড়লেও চড়া দাম ক্রেতাদের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বিক্রেতারা জানান, আগাম চাষ ও অক্টোবরের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা নতুন সবজি বেশি দামে বিক্রি করছেন।











