টাঙ্গাইল সদর
,
সংবাদ দাতা
টাঙ্গাইলের নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ, আলু ও ভোজ্যতেলের দাম কমলেও মুরগির দাম বেড়েছে। চাল, ডাল, আটা, চিনি, ডিম, মাছ ও মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম আরও কমেছে।
টাঙ্গাইল জেলা শহরের পার্ক বাজার, ছয়আনি বাজার, সিটি বাজার, আমিন বাজার ও সন্তোষ বাজারে ঘুরে জানা গেছে, বেশিরভাগ পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকায় বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষ করে সবজি, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমায় ভোক্তাদের স্বস্তি দেখা গেছে।
নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমেছে। পুরোনো পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পার্ক বাজারের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানিয়েছেন, ছোট আকারের পেঁয়াজের দাম কম, বড় আকারের পেঁয়াজের দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।
আলুর বাজারেও দাম কমার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি কেজি নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩৫-৪০ টাকা ছিল। পুরোনো আলু ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির দামও কমেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন ৩০-৩৫ টাকায়, বেগুন ৬০-৮০ টাকায় এবং শিম ৪০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০, সোনালি মুরগি ২৭০-৩০০ এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বেড়েছে উৎসব ও পৌষ-পার্বণ চলাকালীন চাহিদা বৃদ্ধির কারণে।
ভোজ্যতেলের দাম সামান্য কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নেমেছে, তবে অভ্যন্তরীণ বাজারে এখনো দাম সমন্বয় হয়নি।
মাছ ও মাংসের দাম আগের মতো রয়েছে। ইলিশ মাছ ৩০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ১০০০-২৪০০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৫৫০ টাকা, দেশি শিং ১০০০-১২০০ টাকা, রুই ৪০০-৫৫০ টাকা, মৃগেল ৩৫০-৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০-২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ এবং খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের অন্যান্য দাম: দেশি আদা ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, দেশি রসুন ১০০, ইন্ডিয়ান রসুন ১৭০, দেশি মসুর ডাল ও মুগ ডাল ১৮০, ছোলা ১১০ এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা।











