টাঙ্গাইলে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাসা দখল, ভাংচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতারকৃত নারী সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার(১০ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার রাত ১২ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
আদালত ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, চাঁদাবাজির মামলায় মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের আলমাসের স্ত্রী। তবে তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এ ঘটনায় রোববার রাতে সাবেক এমপি’র স্ত্রী রওশন আরা খান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিষ্টিকে এক নাম্বার আসামী ও অজ্ঞাত আরো ৭-৯ জনকে আসামী করা হয়। এদিকে রবিবার রাত ১১ টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে নিয়ে দখল করা মানসিক ভারসাম্যহীনদের ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে মুচলেকা দিয়ে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল-৮(বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। গত ৬ ফেব্রæয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি।