কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার হত্যার ঘটনায় আটককৃত মনিরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাতাপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গতরাতে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে র্যাব।
বিষয়টি দুপুরে র্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার লেফ্টেন্ট কমান্ডার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন নিশ্চত করেছেন।
তিনি জানান, ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে; অপরদিকে মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।
র্যাব কমান্ডার জানান, বুধবার দিনভর গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং হত্যার আগের নানা ঘটনা পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে মনির জড়িত।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি মনিরের। ছুরি হাতে নানা কসরত করা বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করা হয়েছে।
সুমাইয়ার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তিনি আরো জানান, সুমাইয়া ও মনির পূর্ব পরিচিত। ঘটনার পাঁচ দিন আগে সুমাইয়াকে কানে আঘাত করে আহত করে মনির।
মনির বখাটে ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সুমাইয়া তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে; সেই থেকে ক্ষুব্ধ হয় মনির।
পরিকল্পিত ভাবে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এজন্য হত্যাকাণ্ডের সংঘটিত হবার আগের রাতে প্রচুর পরিমান মাদক গ্রহণ করে মনির।
নানা তথ্য উপাত্ত ও ভিডিও ফুটেজ থেকে তা নিশ্চিত হওয়ার দাবিও করেছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত কি’না তাও তদন্ত করা হচ্ছে; তবে ধারণা করা হচ্ছে সুমাইয়াকে হত্যা করে সেও আত্নঘাতী হবার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কালিহাতীর এলেঙ্গার কলেজ পাড়া এলকার খোকনের নির্মাণাধীন বাড়ির নীচতলার সিঁড়িকোঠা থেকে সুমাইয়ার মরদেহ ও আহত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করা হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার