নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ১২ জন আহত হয়েছে।
আর এ ঘটনায় সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
বর্তমানে তিনি শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পেটের উপর পাঁজরের ডানপাশে ছুরিকাঘাত করা হয়।
আজ বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় জাতীয় পার্টির মোজাম্মেল হক গ্রুপ ও আসু গ্রুপের অনুসারীরা বর্ধিত সভাস্থল টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রবেশ এবং স্থান দখল নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন – মধুপুরে মন্দিরের জায়গা পূণরুদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
স্থানীয় নেতা-কর্মীর জানায়, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেমসহ নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সভাস্থলে পৌঁছালে চরম উত্তেজনা শুরু হয়।
একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক গ্রুপের অনুসারীরা অপর গ্রুপের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়।
ছুরিকাঘাত করা হয় সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নুর সামনেই এই হামলা ও আহতের ঘটনা ঘটেছে।
আরো পড়ুন – ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় বের করতে কেন বেশি সময় লাগে?
নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বক্তব্য –
এবিষয়ে আবুল কাশেম বলেন, সকাল থেকে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক মোজাম্মেল হক তার কর্মীদের দিয়ে প্রেসক্লাবের সিড়ি দখল করে রাখে।
সকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সার্কিট হাউজে রিসিভ করে সভাস্থলে যাওয়ার সময় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় উঠলে আমার উপর হামলা করে।
এক পর্যায়ে মোজ্জাম্মেল হকের কর্মী ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। আমার শরীরের পোশাক ছিড়ে ফেলে। অন্য একজনের পাঞ্জাবী পড়ে তিনি সভাস্থলে উপস্থিত হন।
পরে সভাস্থলে বসলে শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি। দলীয় নেতাকর্মীরা যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তাই মেনে নিবো।
বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি মজিবুল হক চুন্নু বলেন, এ ধরনের কিছু ঘটেনি। ঘটলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উক্ত বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য, অতিরিক্ত মহাসচিব এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অন্যরা।
আরো পড়ুন – সোহেল হাজারী কোন অথরিটিতে এমপি? জানতে চান হাইকোর্ট
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। সম্পাদনা – অলক কুমার