নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমান চার সংসদ সদস্য দলীয় মনোনয়ন পাননি।
তাঁদের জায়গায় নতুন চারজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামসহ টাঙ্গাইলের খান পরিবারের আতাউর রহমান খান, সদরের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও কালিহাতী থেকে নির্বাচিত হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীও বাদ পড়েছেন।
অন্য চারটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরাই দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি।
তিনি সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান খানের ভাই ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের বাবা।
শামসুর রহমান খান এ আসন থেকে সাতবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
আমানুর রহমান খান ২০১২ সালে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে আতাউর রহমান খান আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন।
এবার তাঁর জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত হওয়ার পরই নিজ নির্বাচনী এলাকা সখীপুর ও বাসাইলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ দেখা দেয়।
এবার তাঁর জায়গায় সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনুপম শাহজাহানকে মনোনয়ন দিয়েছে দল।
তিনি এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে।
২০১৪ সালে শওকত মোমেনের মৃত্যুর পর অনুপম উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পর আসনটি শূন্য হয়েছিল। একই বছরের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এবার এই আসনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মামুনুর রশিদকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।