নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শান্তা আক্তার (১৯) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও জিয়াউর রহমান (৪৪) নামে এক রং মিস্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
বুধবার (২২ মে) সকালে ও দুপুরে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা দক্ষিণপাড়া গ্রাম ও দেওপাড়া ইউনিয়নের চৌরাশা গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেতের আইলে গৃহবধুর মরদেহ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চৌরাশা গ্রাম থেকে শান্তা আক্তার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শান্তা উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের সাত্তার পাঠানের মেয়ে ও দেওপাড়া ইউনিয়নের চৌরাশা গ্রামের অটো চালক মামুনের স্ত্রী।
বুধবার সকাল ১০টায় গৃহবধূ শান্তা আক্তার বাপের বাড়িতে যেতে চান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
মামুন তার স্ত্রীকে পরদিন নিয়ে যাবে বলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে যান।
স্থানীয়রা আরও জানান, এরপর প্রতিবেশী এক মহিলা দুপুরে ওই বাড়িতে যান।
এসময় তিনি শান্তাকে না দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার করলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে খবর দিলে ঘাটাইল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
অপরদিকে, বুধবার ভোর ৫টায় উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান নামে এক রং মিস্ত্রি রান্নাঘরের ধন্নার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
গত এক সপ্তাহ আগেও তিনি বিষ পান করেছিলেন।
পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন –ভূঞাপুরে একদিকে ভোট গণনা, অন্যদিকে প্রার্থীর পক্ষে জনসভা!
এ ঘটনায় ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করেছেন; নাকি হত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
তিনি আরও জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন জিয়াউর রহমানের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।