টাঙ্গাইলে ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল শহরের নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিক্যাল সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের দায়িত্ব অবহেলায় রিনা বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়। রিনা বেগম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামের ইসরাইল মিয়ার স্ত্রী।

ইসরাইল মিয়া জানান, প্রসব ব্যাথা শুরু হলে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস সেন্টারে রিনা বেগমকে ভর্তি করা হয়।

পরে গাইনী ডাক্তার ডা. সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে অস্ত্রপাচারের (সিজার) মাধ্যমে রিনা বেগম কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

পরে তাকে কেবিনে নেয়ার পর রাতে প্রচুর পরিমাণ রক্ত পড়তে থাকে।

বিষয়টি ক্লিনিকের নার্সকে জানালে সে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে অবগত করে।

তাদের একাধিকবার ফোন করার পরও তারা আসেননি। পরে সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে রিনা বেগমকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার সময় মৃত্যু হয়।

ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত নার্স অনামিকা সরকার জানান, আমি সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছি; রাতে ও গতকাল কি হয়েছে আমি তা জানি না।

নিহত রিনা বেগমের মা চায়না বেগম জানান, সিজার ভালভাবে করা হয়নি। সিজার করার পর পরই পেট ফুলতে থাকে।

পেটের দুই পাশ দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তার কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

আমার মেয়ে বারবার ডাক্তারের কথা বলেছে; কিন্তু ডাক্তার আসেনি। ডাক্তারের অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমাকে যারা সন্তানহারা করলো আমি তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

নিহতের স্বামী ইসরাইল মিয়া জানান, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মেয়ে এতিম হয়েছে।

আমার মেয়েকে যে এতিম করলো আমি ওই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনার পর ক্লিনিকের ম্যানেজার ও মালিক পালিয়েছে।

নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিক্যাল সেন্টারের রিসিপসনিষ্ট সাদিয়া আফরিন জানান, ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজার বাহিরে আছে; তারা কখন ফিরবে তাও জানি না। তাদের ফোন নম্বরও অনুমতি ছাড়া দেয়া যাবে না।

নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিক্যাল সেন্টারের মালিক মো. সরোয়ার হোসেন খান জানান, আমি খুবই ব্যস্ত আছি; আপনার সাথে পরে কথা বলবো। সম্পাদনা – অলক কুমার