টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা সদর চতুর্থ শ্রেনীর স্টাফ কোয়ার্টারের উত্তর পার্শ্বে সড়ক ও জনপথের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে বসবাস ও সেখানে প্রতিনিয়ত মাদকের আড্ডা তৈরি করায় উচ্ছেদের দাবী করছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করেছেন জেলা সদর স্টাফ কোয়ার্টারের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. শাহিন চৌধুরী।
দরখাস্তের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মো. আলি হোসেন জেলা সদর স্টাফ কোয়ার্টারের পিছনে বর্ণালী মাঠ সংলগ্ন সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। আলি হোসেন চায়ের দোকান ও খড়ের গাদা তৈরি করে রেখে তা বিক্রি করার পাশাপাশি বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত আছেন। আলি হোসেন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় বিভিন্ন এলাকা হতে মাদকসেবীরা বিকাল হলেই তার দোকানে ভীড় জমাতে দেখা যায়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া মাঝে মধ্যেই এই এলাকায় ছোট খাটো চুরির ঘটনাও ঘটছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ইতোপূর্বে আলি হোসেনকে এলাকাবাসী সাবধান করে দিলেও সে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়, আমি খুন করিয়া জেল হাজত খেটেছি আমি কাউকে পরোয়া করিনা। এ ঘটনায় এলাকার মুরুব্বিরা বলেন, আমরা সবাই সরকারি চাকুরিজীবি সারাদিন অফিসে থাকি। বাসায় শুধু স্ত্রী সন্তান থাকায় মাদক সেবীরা যেকোন সময় ঘটাতে পারে দূর্ঘটনা এমন শঙ্কা তাদের মনে।
দরখাস্তকারী শাহিন চৌধুরী বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে আলি হোসেন মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে তার দোকানে বসে ওপেন গাজা সেবন করে এবং খর নামানোর সময় রাস্তাঘাটে যানজটের সৃষ্টি হলে তাকে কিছু বলতে গেলে কোয়ার্টারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মোছাম্মৎ মাহমুদা বেগম জেবু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যেই লাল কালির ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।