টাঙ্গাইলে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের দাম একের পর এক বাড়ছে। কাঁচা মরিচের কেজি দাম বর্তমানে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, যেখানে আগে তা ১৮০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল। গোল বেগুনের দামও প্রতিকেজিতে ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকায় পৌঁছেছে। আলু ও পেঁপে ছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার কমে নেই।
বিক্রেতারা জানান, পূজার মৌসুমে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ এবং টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে সাধারণ ক্রেতারা মনে করেন, বাজার তদারকির অভাবের কারণে সব কিছুর দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে বেগুনের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, লম্বা ও সাদা বেগুনের দাম যথাক্রমে ১০০ ও ১৪০ টাকা। তদুপরি, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০, ঢ্যাঁড়শ ৮০ থেকে ৯০, বরবটি ১০০, করলা ১০০ থেকে ১২০, চাল কুমড়ো ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙা, কচুরমুখী, শসা, চিচিঙ্গা, মূলা ও লাউ-সহ অন্যান্য সবজির দামও সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুরগি ও মাছের বাজারেও উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। সোনালি কক মুরগির কেজি ৩১০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০, লাল লেয়ার ৩১০, সাদা লেয়ার ৩০০ ও ব্রয়লার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০, রুই মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১৪০০ এবং বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর গোশতের দাম কেজিতে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির গোশত ১২০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা এবং মাথার গোশত ৪৫০ টাকা। দেশি ও চায়না আদা, রসুন, ডাল, চাল ও ডিমের দামও বাজারে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়বে।