টাঙ্গাইলে স্বামী হত্যাকারী পলাতক স্ত্রী হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

পলাতক স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা ধোপাপাড়া এলাকায় স্বামী হত্যাকারী পলাতক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইল র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান এক প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১, ৯ এবং র‌্যাব-১২ সিপিসি ৩-এর একটি আভিযানিক দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জের রাজাপুর এলাকা থেকে ঘাতক স্ত্রী হৃদয় বানুকে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন –

পরে আটককৃত হৃদয় বানু জানান, তার স্বামী আবু সাঈদ সেন্টুসহ দুজনেই সৌদি আরবে প্রবাসী ছিলেন।

সৌদি থাকাকালে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের ৩/৪ মাস পর হৃদয় বানু গর্ভবতী হন।

পরবর্তীতে ৭ মাস পর তার স্বামীর বড় ভাই খোরশেদের কাছে গাজীপুরের টঙ্গীতে পাঠিয়ে দেয়।

হৃদয় বানু দেশে আসার এক মাস পরেই আবু সাঈদ দেশে ফিরে আসেন। স্বামী দেশে আসার পরও হৃদয় বানুকে স্বামীর বড় ভাইয়ের বাসায় রাখেন।

সেখানে তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তান ‘রেশমী’র জন্ম হয়।

পরবর্তীতে গত দুই মাস আগে টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা ধোপাপাড়া এলাকায় একটি টিনশেড বাসা ভাড়া নেয়।

এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হতে থাকে।

এরমধ্যে স্বামী আবু সাঈদ বিদেশ যাওয়ার জন্য টিকেট কাটতে ২৫ হাজার টাকা লাগবে বলে স্ত্রীকে জানায় এবং তাকে সেই টাকা জোগাড় করতে বলেন।

তার স্ত্রী ওইদিন রাতে ২৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে স্বামীকে দেয়।

এরপর স্বামী টাকা নিয়ে চলে যেতে চাইলে সে বাঁধা দেয়। রাতটুকু থেকে যেতে বলে।

এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া হয় এবং একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারপিট করে। পরে এ ঘটনায় স্বামী সেখানে থেকে যায়।

ওইদিন রাতে তারা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে।

পরে আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে হৃদয় বানু বাড়িতে থাকা একটি চাকু দিয়ে ঘুমন্ত স্বামী আবু সাঈদকে খুন করে পালিয়ে যায়।

র‌্যাব আরও জানায়, আটককৃত আসামিকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

ঘটনাক্রম –

গত ২৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা ধোপাপাড়া এলাকায় আবু সাঈদের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার ২য় স্ত্রী হৃদয় বানু পলাতক ছিলো।

পরে আবু সাঈদের প্রথম স্ত্রী নাহিদা খানম (৩২) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার