টাঙ্গাইলে হাইব্রিডদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আওয়ামী লীগ-সাবেক এমপি রানা

বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে হাইব্রিড নেতাদের কারনে আওয়ামী লীগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টাঙ্গাইল-০৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা।

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, হাইব্রিড মার্কা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হত্যা লুট, চাঁদাবাজি ছিনতাই রাহাজানি ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে টাঙ্গাইলে অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে।

লিখিত বক্তব্যে টাঙ্গাইলে আলোচিত খান পরিবারের সদস্য ও সাবেক এই সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্রমুলক হত্যা মামলা দায়ের করে তাদেরকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।

আর এ সুযোগে এক সময়ের গামছা মার্কার চিহ্নিত কিছু লোক আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে দলের ক্ষতিসাধন করছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১ জুন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক তথাকথিত সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ করা হয়; আমি নাকি তপন রবিদাস নামে এক ব্যক্তিকে রিভলবার ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করেছি।

এমনকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছি। তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

প্রকৃতপক্ষে তপন রবিদাস নামে কোন ছেলেকে আমি চিনি না। কখনো দেখিও নাই।

টাঙ্গাইলে হত্যা, লুট, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে অন্যায়ের রাজত্ব কায়েমকারী হাইব্রিড মার্কা আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য টাঙ্গাইলে আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যার অন্যতম আসামী হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা

এছাড়াও এ মামলায় তার তিন ভাই আসামী। জামিনে মুক্তি পাবার প্রায় দুই বছর পর তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ আনলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিত এড়াতে অতিরিক্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর পরই নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামীদের বিচার চেয়ে একই স্থানে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধার সহধর্মিনী নাহার আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিনেও বিচারের রায় না হওয়াতে সন্ত্রাসীরা পুনরায় টাঙ্গাইলকে অশান্তির নগরীতে রুপ দিচ্ছে।

সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার নেতৃত্বে পুরো টাঙ্গাইলে আবার অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার