নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে ঋণ খেলাপির দায়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ’র মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা এই মনোনয়ন বাতিল করেন।
এছাড়া এসময় আরো তিনজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
বাকি তিনজনের মধ্যে বৈরাবরি পার্টির নিবন্ধন না থাকায় ওই দলের প্রার্থী পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেন এবং এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আরজু মিয়া ও নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
অপর দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির, ওয়াকার্স পার্টির গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের রূপা রায় চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়।
উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদুল নবী চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ঢাকায় ইস্ট্যার্ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় খতীব খান নামক এক ব্যক্তির ছয় লাখ টাকার একটি ঋণের জিম্মাদার ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
এই ঋণ খেলাপি বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
খান আহমেদ শুভ জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন ঋণী নই। আমি একজনের ঋণের গ্যরান্টার (জিম্মাদার) ছিলাম। ওই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ে জানানো হয়নি। তাই খেলাপি তালিকায় নাম এসেছে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আপিলে আমার প্রার্থীতা ফিরে পাব বলে আশা করি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৩০ নভেম্বর এই আসন শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর।
আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার