শরীরে মাদক শনাক্তে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট করাতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত সেবাপ্রত্যাশী। ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোতে সীমিত সংখ্যক টেস্ট, স্থায়ী ঠিকানা জটিলতা ও স্থান সংকুলানের কারণে চালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এই ভোগান্তিতে পড়ছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোরবেলা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রতিষ্ঠান খোলার আগেই লাইনে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। আগে যেখানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ জনের ডোপ টেস্ট হতো, এখন সেই সংখ্যা কমিয়ে একশ করা হয়েছে এবং শর্ত দেওয়া হয়েছে—সেখানে শুধুমাত্র ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দারাই পরীক্ষা করাতে পারবেন।
বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলেও ঢাকার বাইরের বাসিন্দারা রাজধানীতে এসে পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঢাকার বাইরে অনেক সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের সুযোগ সীমিত, আবার কোনো কোনো হাসপাতালে এটি বন্ধ। ফলে সেবাপ্রত্যাশীদের পড়তে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের পরিচালক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, ডোপ টেস্ট তাদের প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ নয় এবং পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তারা নিয়মিত টেস্ট পরিচালনা করতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালগুলো রোগীর চিকিৎসা সেবাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। চালকদের ডোপ টেস্ট অন্য কোথাও স্থানান্তরের বিষয়ে বিআরটিএ-কে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শরীরে মাদক আছে কিনা তা যাচাই করতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক এবং সরকারি হাসপাতাল ছাড়া এই টেস্টের রিপোর্ট কোনো কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে না।