ডেস্ক নিউজ : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ থেকে ডিজেল খালাসের সময় আবারো বিস্ফোরণের ঘটনার ১১ ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিস্ফোরণকালে দুইজন দগ্ধসহ ১২ পুলিশ নদীতে লাফিয়ে পড়ে জীবন রক্ষা করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিস্ফোরণে জাহাজটিতে আবারো আগুন লেগে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় আগুন পুরোপুরি নিভে যায়।
তাদের সহযোগিতা করে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাগর নন্দিনী-২ এর জ্বালানি তেল খালাসের সময় প্রচণ্ড তাপে সাব-মারসেবল পাম্প বিস্ফোরিত হয়ে পুরো জাহাজে আগুন লেগে যায়।
ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাতেই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ফোম দিয়ে রাতভর চেষ্টায় ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ পুলিশ কনস্টেবল শওকত জামিল (২৩) ও জাহাজের স্টাফ মো. শরীফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আহত অন্যদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। অগ্নিদগ্ধ পুলিশ সদস্য দীপ (২৩) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন- এসআই আব্দুল হাকিম (৫০), এসআই গনেশ (৪২), কনস্টেবল লিপন গাইন (২৮), সাইফুল (৩০), নকিব (৩০), মেহেদী (২৭), পলাশ (২৫), বরিশাল নৌ-পুলিশের নায়েক সিদ্দিক, এসআই মোস্তফা কামাল (৪৩) ও এটিএসআই হেলাল উদ্দিন।
কোস্টগার্ড অপারেশন কর্মকর্তা লে. মো. শাফায়েত বলেন, দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণের সময় কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ছিল ঘটনাস্থলে।
বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারছিল না।
জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে কাজ করেছে কোস্টগার্ড।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জাহাজের স্টাফদের অসাবধানতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে ঝালকাঠির নৌরুট নিরাপদ এবং নৌ-চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি পৌর মিনিপার্কে সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি।
ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।